-->

স্বচ্ছ সিরিজের - কাঁচের চূড়ি টুংটাং


চো বন্ধ করে বসে আছি ওয়াসাযাত্রী ছাউনির বেঞ্চে 


অদূরেই শুয়ে আছে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা এক পাগল। 
শুয়ে শুয়ে কল্পনা করছিলাম এক জটিল ছক! আপাতত যে কেউ ভাববে আমি এখানে ঘুমাচ্ছি।
গভীর ঘুম...

খানিকবাদে মনে হলো, কেউ একজন আমার মুখের উপর ঝুকে আছে। পাত্তা দিলাম না। কিন্তু খানিক বাদে মনে হলো, আমার মুখের উপর ঝুকে শুধু দেখছেইনা ব্যক্তিটা ফিসফিসিয়ে কিছু বলছেও! আমার পাশের পাগলটাতো গুটিশুটি মেরে ঘুমোচ্ছে জানি, তবে এটা আবার কে??
জটিল ছক ভেঙে গেলো...

কান খাড়া করে রইলাম। একটা মেয়ে কন্ঠ! ফিসফিস করে ডাকছে,
- "এই যে শুনছেন?"
 
চোখ মেলে তাকালাম ঝট করে। হ্যা, একটা মেয়েই বটে। চোখে গাঢ় কাজল দেয়া এক মেয়ে। ফিসফিস করে আমাকেই ডাকছে,
- "শুনতে পারছেন??"

এবার আমার পালা।
তার কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ঠিক তেমনি ফিসফিসে জবাব দিলাম,
- "জ্বী, শুনতে পাচ্ছি!"
 
হুট করে মেয়েটা একহাত পিছিয়ে গেলো। ভ্যাবাচেকা খেয়ে দাড়িয়ে আছে। আজকাল মানুষ চমকে দেওয়ার দারুণ এক প্রবৃত্তি তৈরি হয়েছে আমার! বেশ ভালোই আনন্দ পাই চমকে দিয়ে। যাহোক, পিছিয়ে যাওয়ার কারণে মেয়েটাকে দেখতে পারছি ভালোমতো।
 
হালকা নীল রঙের সালোয়ার কামিজ, চুল ছেড়ে দেয়া, চোখের কাজলটাই বেশি করে ফুটে আছে। 
যারা বলে, চোখে কাজল দেয়া প্রতিটি বাঙালি মেয়ের চেহারাই মায়া মাখা তাদের জরিপে কিছু ভুল আছে। যেমন এই মেয়েটার চোখে কাজল তবুও চেহারায় মায়া নেই যা মায়া  চোখটাতেই
আমার দেখা শেষ।
 
তাই পুনঃ চোখ বন্ধ করে আমার সেই জটিল ছকে মনোনিবেশ করলাম। ভাবছিলাম, এই দেশের সিস্টেমে একটা অতি জরুরি পরিবর্তন দরকার। এই যে রাত বিরাতে আমার মত যারা যাত্রিছাউনি গুলোকে নিজের কাউচ কাম বেড বানাতে অভ্যস্ত, তাদের সার্ভিসে এই নীল ড্রেস পরিহিতা মেয়েগুলাকে রাখবো। হাতে থাকবে একগোছা নীল চুড়ি, চোখে থাকবে গাঢ় কাজল। কিন্তু চেহারায় কোনো মায়া থাকবেনা। এরা কেবল ফিসফিসিয়ে গান করবে আর দুহাতের চুড়িগুলোকে টুংটাং করে বাজাবে একঘেয়ে এই দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা সবাই ছাউনির বেঞ্চে ঘুমিয়ে পড়ব। এদিকে মেয়েগুলো গাইতে থাকবেই ফিসফিসিয়ে,

"My heart is pierced by Cupid.
I distain all glittering gold!
There's nothing can console me,
But my jolly sailor boat..."

এরপর সকালে আমাদের ঘুম ভাঙবে। ঘুম ভেঙেদেখবো বড় বড় চোখ মেলে মুখের উপর ঝুকে একদল নীল মেয়ে তাকিয়ে আছে। চমকে যাবো সবাই। এরপর আস্তে আস্তে মনে পড়বে রাতের কথা। আমরা যে যার কাজে চলে যাবো, আর নীল মেয়েগুলো রাতের প্রতীক্ষায় বসে থাকবে...নতুন কাউকে গান শোনানোর জন্য। 

হাহাহা...অজান্তেই হাততালি দিয়ে উঠলাম!
চোখ মেলে দেখি সত্যি সত্যিই এক নীল মেয়ে চোখ বড় করে তাকিয়ে আমাকে দেখছে। এমা! এ কোথা থেকে এলো? ভাবতে ভাবতে সোজা হয়ে বসলাম। মেয়েটার চোখটায় ভীষণ মায়া। বললাম,
 
- 'চোখটা সুন্দর তোমার।'
 
চট করে বেশ আগ্রহী উত্তর দিলো মেয়েটা,
- 'তাই! আমার আরোও অনেক কিছুই সুন্দর! দেখবেন?'

একটু অবাক হয়েই তাকিয়ে রইলাম!
মেয়েটা সম্ভ্রান্ত ঘরের বলেই মনে হয়েছিলো, কিন্তু এতরাতে আসবেই বা কেনো এই যাত্রিছাউনিতে? এটাও চিন্তার বিষয়। যাহোক, বুঝলাম এক নিশিকন্যার সাথে আলাপ হতে চলেছে আমার।

- 'নাম কি?'
- 'আদুরি'
- 'জানি মিথ্যা ...তবু ধরে নিলাম, তুমি আদুরি! তো, এই রাতে শীত করছেনা তোমার? পাতলা একটা জামা পড়েই চলে এসেছো যে!'
- 'জ্বী না...আমার শীত করছেনা...'
- 'দাড়িয়ে কেনো? বসো!' 
 
আদুরি আর আমি স্বচ্ছ, বসে আছি শহরের এক যাত্রিছাউনিতে। রাত এগারোটা মত বাজে।
অবরোধ চলছেশহরে কয়টা পুলিশের গাড়ি আছে, তা এই অবরোধ হলেই বোধহয় দেখা যায়। রাস্তায় গাড়িগুলো সাইরেন বাজিয়ে চলে যাচ্ছে। আদুরি বেশ উশখুশ করছে, চুপচাপ বসে না থেকে।
যদিও খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার! কাস্টোমার পেয়েও যদি পেমেন্ট না পায়, তবেতো এমন করবেই। তাকে একটু আশ্বস্ত করা উচিত আমার কথা বলে।

- 'তোমার রেট কত?'
- 'জ্বী মানে...ফুল নাইট ৩০০৳ আর হাফ ২০০৳! রুমভাড়া আপনার...তবে যদি রুম না থাকে, সে ব্যবস্থাও করে দেয়া যাবে! এক্সট্রা চার্জ হবে তখন...'
- 'অতি উত্তম ব্যবস্থাকোনো ডিসকাউন্ট নেই? এইযে ভাষার মাস চলছে,  উপলক্ষে কোনো ছাড় হবেনা??'
- 'আগে বলেন ফুল নাইট নাকি হাফ? ফুল নাইটে...' 

কথাটা শেষ করার আগেই একটা পুলিশের জীপ এসে থামলো সামনে। পেছন থেকে কন্সট্যাবল নেমে আসলো দুজন।
একজন নামলো সামনে থেকে, ড্রেস দেখে বুঝলাম থানার এসআই.

- 'এদিকে আয়...'
কাকে ডাকলো বুঝলাম না!। তবু আমিই গেলাম এগিয়ে।
 
- 'স্লামালাইকুম!'
- ' তুই  এদিকে আয়...'
 
আদুরীকে আনা হলো। এরপর গলার স্বর আরোও খানিকটা চড়িয়ে বললেন,
 
- 'এই রাইতে এইহানে কি করছ!?'
 
আমি মুখ খুলতে যাবো তার আগে আদুরীই জবাব দিলো,
 
- 'বাসের জন্য অপেক্ষা করছি...আর ও আমার ভাই!'
- 'ভাই? রাইতের বেলা এই জায়গায় বইসা পিরিত করতেছিলি..আমি দেখিনাই!'
 
বলেই হাতের আঙুল দিয়ে অশ্লীল একটা ভঙ্গি করে দেখালেন তিনি আদুরী চুপ। আমিও চুপ করে থাকবো সিদ্ধান্ত নিলাম।
 
- 'কি রে কথা কছনা কেন??... ওঠ গাড়িতে ওঠ...হাজতে ঢুকাইয়া রামডলা দিলে তখন পিরিতি সব বাইর হইব...'

আমাদের "রামডলা" দেয়ার উপলক্ষ্যে হাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আদুরীর ডিসকাউন্টের ব্যাপারটা তাই আপাতত অফ রাখতে হলোথানায় যেতে যেতে ভাবছি, জীবনের প্রথম হাজতবাস, না জানি কি আছে কপালে! তবে আদুরীকে চিন্তিত দেখাচ্ছেনা। বরং মনে হচ্ছে সে হাজতযাত্রাটা উপভোগই করছে বেশ! আমাদের বন্দর থানায় আনা হলো।
 
গাড়ি থামতেই বেশ হুড়োহুড়ি লেগে গেলো থানায়, বোধহয়  থানায় চোরগুন্ডা একটু কমই আসে। আমাকে একটা টুলে বসতে বলা হলো, আর আদুরীকে নিয়ে গেলো অন্যপাশে দেয়াল ঘড়িতে বাজে ১১:৩৫প্রথমে আমাকে ডাকা হলো,
 
- 'নাম কি?'
- 'স্বচ্ছ'
- 'পুরো নাম?'
- 'আহমেদ্ স্বচ্ছ..আহমেদ্ বানানে "" এর নিচে হসন্ত() হবে!'
- 'কি হবে??...যাহোক, কি করা হয়?'
- 'কিছুনা'
- 'আমার সাথে ইয়ার্কি হচ্ছে!!'
- 'না তো!'
- 'কোন ভাইয়ের আন্ডারে কাজ করছ??'
- 'জ্বী, আবেদ ভাই'
 
আন্দাজে একটা নাম বলে দিলাম। উনিও বোধহয় চিনতে পারেনি তাই ভ্রু কুচকে বললেন,
 
- 'এটা আবার কোন ভাই? যাহোক, মাগীর লগে কি? দেশের অবস্থা দেখোছনা! এইডা কি রঙ্গ করার টাইম?'
- 'জ্বী..আপনাদের ভুল হচ্ছে...'
- 'চোপ কুত্তা বাচ্চা! উচিত অনুচিত শিখবো তোর থেকে! রাইতের বেলা ঐখানে কি করতে বইসা ছিলি বল!?'
 
চুপ করে রইলাম। কারন, আমি যতই মুখ খুলতে হা করছি ততই উনার চোখ বড় হতে লাগলো।
 
- 'কিরে কথা বলছ না ক্যা!!'  

বলেই কষে একটা থাপ্পড় লাগালেন আমার বাম গালে। চোখে প্রথমে লাল-নীল-দীপাবলি এবং এরপরে কিছু অন্ধকার দেখলাম...তারপর মনে নেই!
.
.
জ্ঞান যখন ফিরলো তখন দেখলাম আমি হাজতের ভেতর। জটিল যে ছকটা যাত্রীছাউনিতে বসে বসে ভাবছিলাম সেটা এখন আর ততোটা জটিল লাগছেনা!। থাপ্পড়ের রিএকশনেই বোধহয়, মস্তিষ্কটা নড়ে গেছে আদূরী দেখি সেলের এককোণে বসে আছে। ছেলেমেয়ের জন্য আলাদা সেল হওয়ার কথা না? কি আশ্চর্য!
যদিও এটা নিয়ে আদূরীর কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছেনা। কিছু একটা বলা দরকার। কিন্তু কি বলবো বুঝছিনা। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
 
- '২১শে ফেব্রুয়ারীটা কয় তারিখে যেন পড়েছে? বলতে পারো!'
- '২১ তারিখে!'
- ''

নির্বিকার উত্তর শুনে সরে এলাম। খানিকবাদে আবার একটু গিয়ে বললাম,
 
- 'আমাদের ডিসকাউন্টের ব্যাপারটা তো মিমাংশিত হলোনা!'
- 'আপনি কি ইয়ার্কি করছেন? দেখেন, ইয়ার্কি আপনাদের মানায়। আমাকে না! এখন যে এই জেলে বসে আছি, কাল বের হওয়ার পর খাবো কি? আমি জানিনা। কাছে যে অল্প টাকা আছে, ওটাতো এখানে ঘুষ দিতেই ফুরিয়ে যাবে!...আর, আর আপনি আমার সাথে ইয়ার্কি করছেন!'

একদমে পুরোটা শেষ করে একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলে থামলো মেয়েটা। বেশ চটেছে বুঝা যাচ্ছে। তবে চেহারায় আবার সেই সম্ভ্রান্ত ভাবটা ফিরে এসেছে। আমার কি এই ব্যাপারটা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত? থাক, আর কথা বাড়িয়ে কাজ নেইঠিকই তো বলেছে মেয়েটা! আমার জন্যই তো জেলে বসে আছে এখন!
.
.
কখন যে ঘুমিয়ে গেছি খেয়াল নেই। উঠে দেখি সকাল হয়ে গেছে। সেলের ভিতর আদুরী নেই। খোজ নিয়ে জানতে পারলাম রাতেই নাকি ছাড়া পেয়ে গেছেআমাকে কেনো ছেড়ে দেয়া হচ্ছেনা তাও বুঝতে পারছি, টাকার লেনদেনটা আমার সাথে এখনও হয়নি!
আমারো অত তাড়া নেই। বরং প্রথমবার হাজতবাস কে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছি উপভোগ করে।

সকাল ১০টা নাগাদ আরোও ২জন কে ধরে আনা হলো।
১ম জনকে ধরেছে বিক্ষোভ মিছিল থেকেআর ২য় জনকে স্কুল কোচিং থেকে, বেচারা নাকি তার মেয়েবন্ধুর সাথে ঝগড়া করে পথের মাঝে রিকসা থামায়। অতঃপর ঝগড়া কিভাবে যেনো মেয়েবন্ধুর কৃপায় ইভটিজিং  রুপ পায়। সচেতন পাবলিক ধরে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে!
পরিচয়পর্বে এমনটাই জানায় ছেলেটা। আর ১ম জনের সাথে কথা বলার একপর্যায়ে,
 
- 'তো ভাই কি, মিছিলের পিছনে ছিলেন?'
- 'হ ভাই...আর বইলেন না! ফুডা কপাল হইলে যা হয়। শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ শেষ, নেতা টাকা পেমেন্ট কইরা গেছেগা! টি-ব্রেকের জন্য থামছিহুট করে পিছন থেকে এসে ধরে নিয়ে এলো!'
- 'জ্বি ভাই বুঝেছি। আজকালকার পুলিশগুলো মোটেও শান্তিপ্রিয় নয়!'
- 'আর আপনেরে হান্দাইছে ক্যা?? কৌটা মারছিলেন নাকি!'
- 'কিসের কৌটা ভাই?'
- 'হেহেহে...কৌটা চিনেন না কৌটা? জদ্দার কৌটা আরি! মানে কটকেল্ কটকেল্!'
- 'ও...না না ভাই, আমি এসব "কটকেল্ ফটকেলে" নেই। এমনেই ধরেছে!'

তারপর গতরাতের কাহিনীটা বললাম। পুরোটা শুনে বললো,

- 'টেনশন নিয়েন না বস্.. আপনার যাত্রীছাউনি নিয়ে দূরদর্শী প্লান আমার ভাল্লাগছে। আমার ভাই দুপুরের মধ্যেই আয়া পড়ব! আপনেগো  জনরেই ছাড়ায়া দিতে কমু!'
- 'জ্বী শুকরিয়া...আরেকটা হেল্প করতে হবে! ঐ আদুরীকে খুজে দিতে হবে! কোথায় পাওয়া যাবে? আপনি তো বললেন সব চিনেন!'
- 'ব্যাপার নাহ্, ওয়াসাতেই পাইবেন!

লম্বাচুলো প্রেমিক ছেলেটা এতক্ষণে কথা বললো,

- 'আমি শেষ হয়ে গেলাম ভাই!'
- 'ক্যা! তুমার আবার কিচ্ছে?.. বুচ্ছি!  মাইয়্যা!'
- 'ভাই ওর লাইগা কিনা করছি! কোচিং এর টাকা মাইরা আইজ ডেটিং  গেলাম..গিফট নিয়া প্যারা দিতেছিল, একটু বকা দিলাম! ব্যস, রিকশা থামায়া চিক্কুর পারলো! আমার বংশে কেউ জেল খাটেনাই কখনও! আর আজ...'
 
বলেই চোখমুখ কুচকে কাদতে লাগলো! সে কি ভয়ংকর বিদঘুটে কান্না!
আমি একটু সরে এসে সেইফ জোনে বসলাম। বলাতো যায়না শোকের চোটে উল্টাপাল্টা কিছু একটা করতে পারে!
.
.
রাত প্রায় ১১টা.
আমি, আদূরী আর লম্বাচুলো প্রেমিক তিনজন বসে আছি ওয়াসার সেই যাত্রি ছাউনিতে। সন্ধ্যায় ছাড়া পেয়ে যাই।
তারপর এদিক সেদিক খানিক ঘুরে চলে আসি। আদুরীকেও পেয়ে যাই! আমার সাথে খোজাখুজিতে লম্বাচুলোও ছিলো।
ইতিমধ্যে দুজনের বেশ ভাব হয়ে গেছে। খুব সম্ভবত আদুরীও তার রাতের খদ্দের পেয়ে গেলো!

আমিও উঠে দাড়ালাম। তিথীকে অনেকদিন দেখিনা। একটু দেখে আসাই যায়ভাজপরা পান্জাবীটা ডলতে ডলতে হাটতে লাগলামশহুরে চিরচেনা রাস্তা।
ল্যাম্পপোষ্ট আছে। কুকুর আছে। পুলিশ আছে। তিথীও আছে...নেই শুধু আমার আমি

কিছু মানুষ জন্মায় কোন কারণ ছাড়াই। এই যেমন তারা মুখ ফুটে দাবি জানাতে পারেনা। জোর করে কাদতে পারেনা কিছু পেয়ে ধরে রাখতে পারেনা হয়ত তাদের একজন হয়ে যাচ্ছি...
এরপর আসে নির্ঘুম রাত আমি থাকব জেগে...তারপর?
অতঃপর...কিছু সুখী চন্দ্রবিন্দু!

... ... ...

সিরিজঃ স্বচ্ছ
গল্পঃ ০৬
তারিখঃ ৫১০২/২০/৯০.