-->

জীবন্মৃত এপিটাফ

... ... ...

১টা বটগাছের চারা কিনবো।
রোপন করে দিবো আমার এপিটাফের সামনে।

এপিটাফে লিখে দিবো,
.."এখানে বিশ্রাম নিচ্ছে ১টি জীবন্মৃত মানুষ.
যে দেখতে তোমাদের মতই ছিলো।.."

লোকজন এসে দেখে যাবে আমায়।
আমি বিশ্রাম নিচ্ছি ভেবে ছোট মেয়েটা ফুলের তোড়া দিয়ে সুবাসিত করার বৃথা চেষ্টা করবে সপ্তাহে একদিন..
কয়েক সপ্তাহ পর বছরে একদিন!
তারপর একদিন ছোটমেয়েটাও ব্যস্ত হয়ে যাবে.
যেভাবে এখন আমি ব্যস্ত আমার ছোট্ট বটগাছটাকে নিয়ে!

একদিন বটগাছটি বড় হয়ে শেকড়ের চাপে ভেঙে দিবে আমার এপিটাফের কংক্রিট।
হয়ত লেখাগুলোও ততদিনে মুছে যাবে,
উড়ে যাবে পাশের আকাশে কিছু কালো কাক।

শুধু আফসোস থেকে যাবে আমার!
বটগাছটি জানবে না,
সে বেড়ে উঠছে একজন জীবন্মৃতকে পদদলিত করতে করতে।

... ... ...

রোড নং ছত্রিশ
তারিখ: ৬১০২/১১/১০.