-->

সমসাময়িক ইতিবৃত্ত

 
... ... ...

জ কিছু লিখে ফেলা দরকার।
তদন্তে থাকুক দায়িত্বে থাকা সরকার
তদন্ত চলুক প্রেমের বদলে লেখা প্রেয়সীর চতুর্দশী কবিতার।
যে কবিতার লাইনের পরতে পরতে থাকতেই পারে
উন্নয়ন,
সাইবার এটাক,
দুটি ঝুমকো কানের দুল,
বা উড়ে আসা কপালে কিছু লাগামছাড়া এলোকেশ।
.
শব্দভর্তি এইসব কবিতার কাগজ আর চাকুরির বিজ্ঞাপন
দরজায় দরজায় ছুড়ে দেয়া হলেও,
আজোও কাউকে পড়তে দেখিনি কাঁজলধোয়া চোখের ভাষা।
শহরে রোজরাতে কত ছবির ওপর আলতো ঠোঁট ছোঁয় আগ্রাসী কামুক,
তবু তাতেও প্রশাসনের মনটা আর টললো না!
.
নাহ! টলেনি, হাতভর্তি মেহেদী আর চোখভর্তি কান্না নিয়ে
বসে থাকা বাধ্য সেই মেয়েটার মনও।
যার ঠোটের নিচের তিল দেখে,
আজকের এই দিনে হয়েছিলো
কিছু যুদ্ধ ঘোষণা,
শহীদ বক্তৃতা,
বেয়োনেটে গাঁথা গোলাপ আর কিছু অবাক অনুনয়ন।

দিনশেষে সেই আঁচলের সেফটিপিন খুলছে গিয়ে দেখো কোনো ৯ গ্রেডের কর্তা;
আর তুমি আমি বসে চলো কপচাই,
- "মামা ২কাপ চা-রে বানাও আরোও ৩টা"

... ... ...

কবিতায় তো সবই লেখা হয়েছে।
চাটুকার কেরানীর গল্প থেকে প্রেমিক সভ্যতার ইতিহাস,
লাঠিয়াল দারোগার ঘুষ কিম্বা রডের বদলে বাঁশ!
কিন্তু এসবে কারো কি খুব একটা যায় এসেছে বলুন?

তাই কেউই ধৈর্য নিয়ে আজকাল কিছু আর লিখছেনা
আর লিখলেও কোনো প্রকাশনীই তা ভালোবেসে ছাপছেনা।
অনেক ধৈর্য্য নিয়ে লিখে বা ছেপে কখনো কিছু কি হয়েছিলো বলুন?
 
আপনার ব্যস্ত সরকার এসব কোনদিন পড়েনি,
ভবিষ্যতেও পড়বে না।

... ... ...


লেখা: রোড নং ছত্রিশ.
তারিখ: ৯১০২/৩০/৫২.