স্বচ্ছ সিরিজের - এককাপ চিন্তা-দূরকারী চা
ডা. খাস্তগীর গার্লস স্কুল।
স্থান: ৩রাস্তার মোড়, ডাস্টবিনটার বিপরীত, জামালখান, চট্টগ্রাম.
ছুটি হয়েছে স্কুল। বিভিন্ন টাইপের ছেলে দাড়িয়ে আছে আশেপাশে।
"টং দোকানের" সস্তা পিয়াজুটাইপ ছেলে থেকে শুরু করে "রয়েল হাটের" ভাপ দেয়া বাসি চিকেন গ্রীলটাইপ, সব লেভেলের ছেলেই আছে। তবু পরিচিত চেহারাটা খুজে পেতে দেরি হলোনা।
Levi's এর ১টা হুডি, ভিতরে Ash কালারের টি-শার্ট আর দর্জির দোকান থেকে ৩০টাকা দিয়ে চাপিয়ে আনা প্যান্ট পড়েছে আজ ছেলেটা। বড় গ্লাসের ১টা চশমাও লাগিয়েছে।
বিগত ২ সপ্তাহ যাবৎ ছেলেটাকে নিয়ে রিতিমত গবেষণা চালাচ্ছি আমি।
আজও সে এদিক ওদিক তাকিয়ে একটার পর একটা মেয়ে চয়েজ করছে। অবশেষে এক হিন্দু মেয়ে বেছে নিলো।
ছেলেটার বৈশিষ্ট্য হলো, সে সবসময় সিংগেল মেয়েগুলাকেই বাছাই করবে, আর যেভাবেই হোক পটিয়ে ফেলবে।
মেয়েটা চুলগুলো একপাশে বেণী করে ফেলে রেখেছে। দীর্ঘক্ষণ ক্লাস করার কারণে, চেহারাটা মলিন।
রিক্সা খুজছে মেয়েটা। ভীড়ের জন্য পাচ্ছেনা।
অনেকক্ষণ রিক্সার জন্য অপেক্ষা করার পর অধৈর্য্য হয়ে হাটতে শুরু করল।
আর তার কিছুক্ষণ পরেই কিছুদুর আসার পর ছেলেটা পিছু নিলো। একটু এগিয়ে গিয়েই কি যেনো বলা আরম্ভ করলো।
একটু তফাতে দাঁড়িয়ে আমি দেখছি সব চুপচাপ। আমাকে ক্রস করার সময় বলতে শুনলাম,
- 'তুমি ক্লাস 9 এ পড় না?'
- 'জ্বী হ্যা'
- 'আমাকে চিনতে পারছ না! আরে ফেসবুকে তো চ্যাট হতো আমাদের। আমি "অন্তহীন নেহাল"... তুমি "অশ্রু" তো?'
- 'জ্বী না, আপনাকে আমি চিনতে পারছিনা। আপনি প্লীজ চলে যান আমাকে ডিসটার্ব করবেন না আর!'
আমি মুচকি হাসতে লাগলাম। কয়েকদিন ফলো করার কারণে ছেলেটার প্ল্যান মোটামুটি বুঝে নিয়েছি।
জানি আজ রাতেই মেয়েটা ফেসবুকে ঐ নামে ছেলেটাকে সার্চ দিবে। তারপর অপরিচিতা সেজে চ্যাট করবে।
ছেলে না চেনার ভান করে কথা বলতে থাকবে। এভাবেই মেয়েটা তাকে যাচাই করে নিতে চাইবে। সুন্দর একটা স্টোরি লাইন তৈরি হয়ে যাবে। ছেলেটা দারুণ করেই লাইন তৈরি করে রেখেছে।
বিগত ২ সপ্তাহ এসব দেখে দেখে অভ্যস্থ হয়ে গেছি।
তবে আজ দুপুরে ঘটনার মোড় ঘুরে গেলো অন্যদিকে। দেখি ছেলেটা দুইহাতে মাথা চেপে ধরে রাস্তার পাশের একটা খুটিতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। থরথর করে কাপতে শুরু করলো হঠাৎ। দৌড়ে গিয়ে ধরে ফেললাম পরে যাওয়ার আগেই। ছেলেটা অজ্ঞান হয়ে গেছে। একটা রিকসা ডেকে দাড় করালাম।
রওনা দিলাম তারপর কাছের হাসপাতালে।
... ... ...
হাসপাতালের লবিতে বসে ৪ মাস আগের ঘটে যাওয়া কাহিনীগুলো মনে মনে আরেকবার ভাবছিলাম।
ছেলেটার নাম আরিয়া।
মা মারা গেছে ছোটবেলায় ১টা এক্সিডেন্টে। বাবা ১টা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। আবদুল লতিফ সাহেবের ছোট ছেলে আরিয়া। বড় ছেলে অরিন্দম লেখাপড়ার পাশাপাশি কাস্টমার কেয়ারে ১টা জব করে। মধ্যবিত্ত একটি পরিবার। তবে স্বচ্ছল। জন্মগতভাবে আরিয়ার মাথায় ছোট ১টা টিউমার ছিলো। এতটাই নগন্য যে তখন ডাক্তাররা পাত্তা দেয়নি বিষয়টা।
ঐদিন হাসপাতালে আনার পর, যাবতীয় পরিক্ষার পর জানা যায়, টিউমারটা বড় হয়ে গেছে। অপারেশন করা লাগবে।
অপারেশনের পর ৩ মাস কেটে যায়। অবস্থার পরিবর্তন না পেয়ে, অন্য এক ক্লিনিকে আরিয়াকে নেয়া হয়।
এখন সেই ক্লিনিকেই বসে আছি নতুন করে চেক করা রিপোর্ট হাতে নিয়ে। ছেলেটার ক্যান্সার হয়ে গেছে। আগের অপারেশনটা নামকাওয়াস্তে করানো হয়েছিল।
একটু আগে খবরটা পেয়ে লতিফ সাহেব প্রচন্ড ভেঙে পরেন। লবিতেই হাউমাউ করে কাদতে শুরু করেন আমাকে জড়িয়ে ধরে। এ কদিনের পরিচয়, তবু যেনো কিভাবে তাদের পরিবারের সাথে মিশে গিয়েছি।
যদিও আরিয়াকে জানানো হয়নি আমি যে তাকে ফলো করতাম ব্যাপারটা। এখনই সময় না এসব নিয়ে আলোচনার।
কেবিনের দিকে তাকিয়ে থাকলাম বেশ কিছুক্ষণ। তারপর বাইরে বেরিয়ে এলাম।
... ... ...
অনেকদিন যাবৎ একটা চাপের ভিতর ছিলাম। আজ ক্যান্সারের খবরটা পেয়ে ব্যাপারটার সুরাহা হয়ে গেলো।
ক্লিনিকের খরচ,অপারেশন যাবতীয় মিলে লতিফ সাহেবের জমানো অর্থের সিংহভাগ খরচ হয়ে গেছে।
ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট কিভাবে করাবেন, সেটা আর জানতে চাইনা। নিজেও জড়াতে চাইনা।
আছরের আজান দিয়েছে।
প্যারেড গ্রাউন্ডের এক কোণায় চুপচাপ বসে আছি। আমার বিপরীতে হাফ-বয়েল করা ডিমের কুসুমের মত নিষ্প্রভ একলা সূর্য। চোখে এসে লাগছে শেষ বিকেলের রোদটা সরাসরি। মাথা নিচু করে রইলাম।
- 'সার, চা খাইবেন, চা?'
অল্প বয়সী এক মেয়ে। সাথে ছোট ভাই। বয়স কত হবে? বড়জোর ১০ আর ছোটটা ৬। এ বয়সে চা ফেরী করছে।
আমি চুপ করে তাকিয়ে থাকলাম। ছোট ভাইটা বালতি থেকে গ্লাস নিয়ে বালতির পানিতেই ধুতে লাগলো।
মেয়েটা সেই গ্লাস ১টা শুকনা কাপড়ে মুছে, ফ্লাস্ক থেকে চা নিয়ে, ১টুকরো লেবু দিয়ে আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো। শেষবার কবে এত যত্ন নিয়ে কেউ চা বানিয়ে দিয়েছে মনে পড়ছেনা। যাহোক, মেয়েটা চায়ের গ্লাস হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু বলা দরকার।
- 'ওই! আমি কি একবারো কইছি, দে আমারে চা দে? বানাইলি ক্যান!'
আচমকা ধমকটা আশা করেনি ভাই-বোনের কেউই।
ছোটভাইটা ভয় পেয়ে বোনের পিছনে লুকালো। আর মেয়েটা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বোকার মত দাড়িয়ে থাকলো।
- 'সার, বানায়ে ফেলছি যখন খাইয়া দেখেন না! আফনের সব চিন্তা চইলা যাইব'
- 'আমার অনেক চিন্তা এটা তোকে কে বললো?'
- 'আফনারে দেখলে দুশ্চিন্তা দুশচিন্তা লাগতেছে সার। খাইয়া দেখেন চা-ডা ভালা হইচে'
- 'আর যদি আমার চিন্তা না যায়!'
- 'তাইলে টেকা ফেরত নিবেন'
- 'ক টাকা কাপ?'
- '৬ টেকা'
- 'টেকা না, বল টাকা!'
- 'হ..৬ টাকা'
- 'হু'
আসলে আমার পকেটে কোনো টাকা নেই। এভাবে আচমকা চা বানিয়ে ফেলবে আশা করিনি। যাহোক, একটুপর চায়ের গ্লাস ফেরত দিতে দিতে বললাম, 'নে কাপ নে। চিন্তা যায় নাই! টাকা পাবিনা, ভাগ'
মেয়েটা ছলছল চোখে কাপ হাতে আগের মতই দাড়িয়ে রইল। আমি উঠে চলে এলাম। কেদে দেয়ার আগে সরে যাওয়া উচিত।
... ... ...
সপ্তাহখানেক পর।
বেলা বারোটার দিকে রুমের দরজা কেউ জোড়ে জোড়ে বাড়ি দিচ্ছে। শব্দে ঘুম ভেঙে গেছে, কিন্তু উঠতে ইচ্ছা করছেনা। বরং শুয়ে দরজার দিকে তাকিয়ে কল্পনার চেষ্টা করছি, দরজার ওপাশে কে থাকতে পারে?
মেসের ম্যানেজার বদরুদ্দিন সাহেব হবেনা। মেসভাড়া ৫ তারিখে পে করে দিয়েছি।
পাশের রুমমেট আফজল হবেনা, ছোকড়া বেশ তমিজ করে চলে আমাকে। এভাবে দরজা ধাক্কাবেনা। তাহলে? নিশ্চয়ই জরুরী কিছু!
অনিচ্ছাসত্বেও উঠতে হলো, দরজাটা ভেঙেই ফেলবে নাহয়!
দরজা খুলে দেখি অরিন্দম, আরিয়ার বড় ভাই।
- 'স্বচ্ছ ভাইয়্যা! আপনাকে পেলাম অবশেষে।'
- 'কেনো? আমার নামে কি "Wanted" পোষ্টার ছাপানো হয়েছে বাইরে?'
- 'না ভাইয়্যা তেমন কিছুনা!...ভেতরে আসি?'
- 'নাহ্ ভেতপ্রে আসা যাবেনা..এখানেই বলো!'
- 'ওহ... না আসলে, আগেরদিন হুট করে ক্লিনিক থেকে ভেনিশ হয়ে গেলেন। তারপর লাপাত্তা! বাবা আপনাকে খুজেছেন। মেসেও এসেছি ২ বার পাইনি! আজ পেলাম।'
- 'আচ্ছা..'
- 'আরিয়াকে বাসায় নিয়ে এসেছি। কেমো দেয়ার সময় ক্লিনিকে নিতে হয় কেবল! ভাইটা আমার, কি হয়ে যাচ্ছে দিনদিন!..যাহোক, বাবা আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছেন'
- 'জরুরী?'
- 'হ্যা..'
- 'আচ্ছা..চলো'
জানি, জরুরী কিছু নয়। আরিয়া হয়তো আমাকে দেখেতে চেয়েছে। ওরা ধরেই নিয়েছে ছেলেটা বাচবেনা, তাই ওর আবদারগুলো মেটাচ্ছে একটা একটা করে। তবে আমার তেমন তাড়া নেই। ঘুম থেকে উঠেছি বাসিমুখের ভেতরটা কেমন যেনো লাগছে। অরিন্দমকে বললাম,
- 'চলো চিন্তামুক্ত হয়ে আসি আগে'
- 'মানে?'
উত্তর না দিয়ে, প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢুকলাম। ঐ তো পিচ্চিটা চা বিক্রি করছে। ডাক দিলাম।
আমাকে দেখে মেয়েটা চিনতে পারলো। আর চিনলো বলেই কাছে আসছেনা।
- 'আরে এদিকে আয়! আজ আরেকজনকে এনেছি টেস্ট করার জন্য..জলদি ৩ কাপ দে!'
বেশ সন্দেহের চোখে তাকালো, আজকেও টাকা মেরে দিবো কিনা বুঝতে চেষ্টা করছে। তারপর অরিন্দমের দিকে তাকিয়ে হয়তো ভরসা পেলো। বলল,
- 'অকে! দিতেছি খাড়ান'
- 'বনা জলদি...তোর ভাই রাহুল কই?'
- 'হেতের জ্বর অইছে..আহেনাই আইজ্যা!'
- 'ও..'
ততক্ষণে অরিন্দম চা খেতে শুরু করেছে।
- 'আফনে আমার ভাইয়ের নাম জানলেন কেমনে?'
- 'ক্যান, একটু আগেই না বললি "রাহুলের জ্বর"!'
- 'কইছিলাম!..হইতে পারে...আরেকখান কাপ কারে দিমু সার?'
- 'ওইডা তুই খা'
আমরা ৩জন চা খাচ্ছি, "নিশ্চিন্তকারক চা".
- 'নাম কি তোর?'
- 'মিতু'
- 'রাহুল-মিতু..উহু, মেলেনাই...যাহোক, চল মিতু আমাদের সাথে। আজ পাইকারী দরে চা ফেরী করবি!'
- 'বুঝিনাই!'
- 'তোর চিন্তামুক্ত করার এই চা, অনেকের দরকার। সবাই চিন্তায় ব্যস্ত..আজ তুই ঐসব মানুষদের চা খাওয়াবি! তবে যেহেতু পাইকারী হিসাব তাই খুচরা দামে চলবেনা। প্রতি কাপ ৫টাকা কিন্তু! অকে?'
চোখ বড় বড় করে মিতু বলল, 'অকে..'
... ... ...
আমরা বসে আছি আরিয়ার রুমে।
আমরা বলতে আমি, মিতু, লতিফ সাহেব, অরিন্দম, অশ্রু, আরিয়া আরোও কিছু অপরিচিত মানুষ। সবাই চুপচাপ চা খাচ্ছি।
লতিফ সাহেব প্রচন্ড মানসিক চাপের ভিতরে আছেন। তার হাতে যে টাকা আছে তাতে বড়জোর আরেকবার কেমো দেওয়ানো যেতে পারে। দৈনন্দিন খরচ তো আছেই।
মিথ্যা দিয়ে সম্পর্কটা শুরু হলেও, অশ্রু মেয়েটা আজ সত্যিই আরিয়ার জন্য এখানে এসেছে। ফেইসবুকে ওরা নাকি ইভেন্ট খুলেছিলো আরিয়ার জন্য সাহায্য চেয়ে। সেসবে আজকাল কেউ আর সাহায্য দেয়না। তবুও নিজদের স্কুলে মানবিকতার বক্স হাতে তোলা টাকা আর ইভেন্ট থেকে পাওয়া বেশকিছু টাকা ধরিয়ে দিলো ওরা লতিফ সাহেবের হাতে।
আমি জানি এ টাকাটাও যথেষ্ট নয়!
আরিয়ার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলাম। ছেলেটা বেঁচে যাবে। আমি জানি! শুধু দরকার একটা মিরাকল।
বাইরে এসে অরিন্দমের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে তিথীকে একটা কল দিলাম।
- 'হ্যালো..'
- 'তিথী, আমি__'
- 'হ্যা স্বচ্ছ..বলো'
- 'তোমাকে যে সেদিন আরিয়ার ব্যাপারে বলেছিলাম..কিছু করতে পারলে?'
- 'কেনো? তুমি কোথায়?? আমিতো ওদের বাসায় বাবাকে বলে মানুষ পাঠিয়েছি. ওরা আরিয়ার সম্পূর্ন দায়িত্ব নিবে!'
- 'ওহ্... ধন্যবাদ তিথী!'
- 'হু...'
- 'তুমি কোথায়?'
- 'রুমে বসে আছি। কেনো?'
- 'কিছুনা এমনিই...রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় দাড়াও..আমি খুব অস্বাভাবিক গুণসম্পন্ন একজনকে নিয়ে আসছি'
- 'কাকে আনবে আবার!'
- 'একজন চিন্তাদূরকারিণী কে'
- 'বুঝিনি...বুঝতেও চাইনা। আমি বারান্দায় অপেক্ষা করছি, আসো।'
... ... ...
মিতু আজকাল তিথীদের বাড়িতেই থাকে।
ওর কাজ রোজ সন্ধায় স্কুল থেকে ফিরে তিথীর মা কে "চিন্তাদূরকারী চা" বানিয়ে খাওয়ানো।
আরিয়ার খবর আর নেইনি। জানি, ছেলেটা বেঁচে যাবে।
অশ্রু মেয়েটা আজকাল প্রায় আরিয়ার কাছাকাছিই থাকে। আমার উচিত, মেয়েটাকে এখুনি সতর্ক করে দেয়া। আরিয়া সুবিধার ছেলে নয়!
সবকিছু ঠিকঠাকই চলছে। তাই বহুদিন পর হাটতে বের হলাম। কড়া রোদ মাথার উপর।
জানি সবাই ভালো আছে। তবু কিছু একটা যেনো গোলমেলে...
মাথার উপরে আকাশের দিকে তাকালাম। আকাশটা ঘোলাটে, বোধহয় আজ একটু বেশিই বিষন্ন।
আকাশকেও এককাপ চা খাওয়ানো উচিত..
... ... ...
সিরিজঃ স্বচ্ছ
গল্প নংঃ ০৮
তারিখঃ ৫১০২/২০/৮১.
Post a Comment