-->

কুশলাদি বিনিময়


... ... ...

'লেও হতে পারতো' নামক ছোটোখাটো বিষয়গুলো দিব্যি এড়িয়ে যাচ্ছি।
এই যেমন চোখের পাঁপড়িতে ধাক্কা খাওয়া নুড়িটা এসে হয়তো চোখেই লেগে যেতে পারতো।
কিন্তু লাগেনি.
হয়তো পকেট থেকে ২টাকার কয়েনের বদলে সেদিন নিজেই হারিয়ে যেতে পারতাম।
কিন্তু যাইনি.


এইসব ছোটোখাটো 'হয়তো' নামের বিষয়গুলো এড়িয়ে যাচ্ছি এই ভেবে ভেবে,
'হলেও হতে পারতো' নামক ছোটোখাটো বিষয়গুলো তো কখনোই আমার হয়ে ওঠেনি আজ পর্যন্ত!

"কপালের টিপে আপনাকে দারুণ মানায়", বলার পর থেকেই আপনি আর কপাল থেকে টিপ নামাননি।
এই দেখে হোঁচট খেতেই পারতো আমার মন।
কিন্তু খায়নি।

ঠিক যেমন আকাশ থেকে শা শা করে খসে পড়া তাঁরা দেখে অবাক হয়না কেউ।
অথবা রেস্তোরায় মুরগির এক্সট্রা ঝোলে ভুল করে বড় একটুকরো আলু আবিষ্কারের পর ওয়েটারকে মন থেকে ধন্যবাদ দেয়া হয়ে ওঠেনা।
ওভাবে অবাক চোখে দীর্ঘক্ষণ নিঃশ্বাস আঁটকে আপনার দিকে তাঁকিয়ে থাকা যেতোই।
রোজ কত মানুষ মরছে তাই ভুলে যাই আমরা,
আর এতো সামান্য অবাক হওয়া।
এমন বাউন্ডুলে অবাক হওয়াতে ভ্রু কোঁচকায় না কারোরই।

জানেনই তো, এলোপাথাড়ি শব্দের যোগান দেয়া বাউন্ডুলেদের বাজারদর সস্তা ফটোগ্রাফিতেই সীমাবদ্ধ।
কবিতার খাতা থেকে এদের কেউ ডায়রির পাতায় জায়গা দেয়না ইতিহাস স্বাক্ষী।

"..কপালের টিপগুলো যেনো না নামে
আকাশের তারাগুলো খসে যায় যাক।
এপাড়াতে শিষ দিক বখাটের দল
কবিতারা জ্বলে পুড়ে ছাইপাঁশ খাক.."

- এরকম আরো ডজন খানেক শব্দের অপব্যবহার দেখিয়ে যেতে পারতাম চাইলেই।
হয়তো তা দেখে ভ্রুকুটি তুলে তাঁকাতেও পারতেন আমার দিকে!
কিন্তু বেশিদূর আর আগাতে দিলাম না।
জানেনই তো,
"হলেও হতে পারতো" নামক ছোটোখাটো বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতে শুরু করেছি আমি।
আর তার বদলে 'ওগুলো' কখনোই আমার হবেনা জেনে নিতে শিখছি রোজ...

ভালো থাকবেন।

... ... ...


লেখাঃ রোড নং ছত্রিশ.
তারিখঃ ৯১০২/১০/৮০.