পুলিসিস্টেম
... ... ...
স্যুট-কোট পরা ব্যাংক ম্যানেজারগুলো ধীর পায় বেরোয় মসজিদ থেকে।
বুঝি কিভাবে?
তাদের প্যান্ট গুটিয়ে থাকা শহুরে বিকালে তখন আছর।
পথিমধ্যে দুটি কুকুর-কুকুরীর অন্তর্মিলন।
থমকে দাঁড়ায় প্যান্ট গুটানো ম্যানেজারের দল,
- "ধুচ্ছাই, নাপাকির দল। ওযুটা কি থাকবে?
মাগরীবের ওয়াক্তে এই শীতে ফের পানি ছুঁতে হবে!"
ঠিক এমনটাই আওড়াতে আওড়াতে তারা এগোয়।
এদিকে আমি তখনও ক্যাশিয়ারের লাইনে দাঁড়িয়ে
উত্তপ্ত কুকুরীর মত কুঁইকুঁই শব্দ করে চলেছি।
কারোও ভ্রুক্ষেপই নেই।
আন্তর্জাতিক সিস্টেম মেনেই এগুতে হবে।
এদিকে আছরের ওয়াক্ত ফেলে সূর্য হেলছে বায়ে।
- "ধুচ্ছাই, বদমাশের দল। নামাজটা কি থাকবে?
তোদের নামাজের সময় গুণতে কি নিজেরটা জলে ফেলবো!
আমায় ঠেলে মুসল্লি ম্যানেজারের দল ব্যাংকে এলো,
আর তাদের ঠেলে আমি এলাম রাস্তায়।
পথিমধ্যে দেখি দুটি কুকুর-কুকুরীর অন্তর্মিলন।
কুঁইকুঁই শব্দ করছে ভোতাভাবে।
সেদিকে তাঁকিয়ে বমি এলো,
হড়হড়িয়ে বেরিয়ে এলো গালাগাল।
পথের ধারের পাথর কুড়িয়ে ছুঁড়ব ভাবছি,
পাথর নেই।
কি আশ্চর্য! সিটি কর্পোরেশনের লোকগুলো
এত নিখুত দায়িত্বে পাথর সরাচ্ছে কবে থেকে?
... ... ...
রাত গভীর।
সারিবদ্ধভাবে তৈরি এই শহুরে বিল্ডিংগুলোয়
লাইন ধরে চলে গণহিসাব-নিকাশ।
আন্তর্জাতিক সিস্টেম মেনেই এগুতে হবে,
তাই প্যান্ট গুটিয়ে ম্যানেজারের দল দ্রুতলয়ে
কোমড় নাড়ায় আর ভেসে আসে তাতে
ভোতা কুঁইকুঁই আওয়াজ।
এদিকে বিশ্রি শব্দ তুলে সড়কপথে আগায়
সিটি কর্পোরেশনের ট্রলিগুলো।
নিঃশব্দে তাঁরা সব পাথর কুড়োয়।
পথিমধ্যে ভিন্ন দুটি কুকুর-কুকুরীর অন্তর্মিলন।
ট্রলি থেকে একটা পাথর কেউ ছুড়ে মারে ওদের দিকে।
এই শহরে ওরাই যেনো একমাত্র নাপাক বস্তু!
কিন্তু এরই মাঝে কি অদ্ভুত মিল সবকিছুতেই!
বোবা রাজপথজুড়ে হেটে বেড়ায় রোজ কত লেখালেখি।
আমি কিম্বা ম্যানেজারের দল,
নামাজ কিম্বা কর্পোরেশনের ট্রলি,
পাথর কিম্বা রাতের বিছানায়,
সবকিছুতেই এক অদ্ভুত মিল।
দাসত্বের পুলিসিস্টেমে কেউনাকেউ কারোনা কারোও পিছে ছুটছি।
কেউ ধীরপায়ে, কেউ দ্রুতলয়ে।
মাঝপথে এই দুটি কুকুর-কুকুরীর অন্তর্মিলন দেখে মনে হয়,
রাজপথে শুধু এই কুকুরগুলোই খুব স্বাধীন...
বুঝি কিভাবে?
তাদের প্যান্ট গুটিয়ে থাকা শহুরে বিকালে তখন আছর।
পথিমধ্যে দুটি কুকুর-কুকুরীর অন্তর্মিলন।
থমকে দাঁড়ায় প্যান্ট গুটানো ম্যানেজারের দল,
- "ধুচ্ছাই, নাপাকির দল। ওযুটা কি থাকবে?
মাগরীবের ওয়াক্তে এই শীতে ফের পানি ছুঁতে হবে!"
ঠিক এমনটাই আওড়াতে আওড়াতে তারা এগোয়।
এদিকে আমি তখনও ক্যাশিয়ারের লাইনে দাঁড়িয়ে
উত্তপ্ত কুকুরীর মত কুঁইকুঁই শব্দ করে চলেছি।
কারোও ভ্রুক্ষেপই নেই।
আন্তর্জাতিক সিস্টেম মেনেই এগুতে হবে।
এদিকে আছরের ওয়াক্ত ফেলে সূর্য হেলছে বায়ে।
- "ধুচ্ছাই, বদমাশের দল। নামাজটা কি থাকবে?
তোদের নামাজের সময় গুণতে কি নিজেরটা জলে ফেলবো!
আমায় ঠেলে মুসল্লি ম্যানেজারের দল ব্যাংকে এলো,
আর তাদের ঠেলে আমি এলাম রাস্তায়।
পথিমধ্যে দেখি দুটি কুকুর-কুকুরীর অন্তর্মিলন।
কুঁইকুঁই শব্দ করছে ভোতাভাবে।
সেদিকে তাঁকিয়ে বমি এলো,
হড়হড়িয়ে বেরিয়ে এলো গালাগাল।
পথের ধারের পাথর কুড়িয়ে ছুঁড়ব ভাবছি,
পাথর নেই।
কি আশ্চর্য! সিটি কর্পোরেশনের লোকগুলো
এত নিখুত দায়িত্বে পাথর সরাচ্ছে কবে থেকে?
... ... ...
রাত গভীর।
সারিবদ্ধভাবে তৈরি এই শহুরে বিল্ডিংগুলোয়
লাইন ধরে চলে গণহিসাব-নিকাশ।
আন্তর্জাতিক সিস্টেম মেনেই এগুতে হবে,
তাই প্যান্ট গুটিয়ে ম্যানেজারের দল দ্রুতলয়ে
কোমড় নাড়ায় আর ভেসে আসে তাতে
ভোতা কুঁইকুঁই আওয়াজ।
এদিকে বিশ্রি শব্দ তুলে সড়কপথে আগায়
সিটি কর্পোরেশনের ট্রলিগুলো।
নিঃশব্দে তাঁরা সব পাথর কুড়োয়।
পথিমধ্যে ভিন্ন দুটি কুকুর-কুকুরীর অন্তর্মিলন।
ট্রলি থেকে একটা পাথর কেউ ছুড়ে মারে ওদের দিকে।
এই শহরে ওরাই যেনো একমাত্র নাপাক বস্তু!
কিন্তু এরই মাঝে কি অদ্ভুত মিল সবকিছুতেই!
বোবা রাজপথজুড়ে হেটে বেড়ায় রোজ কত লেখালেখি।
আমি কিম্বা ম্যানেজারের দল,
নামাজ কিম্বা কর্পোরেশনের ট্রলি,
পাথর কিম্বা রাতের বিছানায়,
সবকিছুতেই এক অদ্ভুত মিল।
দাসত্বের পুলিসিস্টেমে কেউনাকেউ কারোনা কারোও পিছে ছুটছি।
কেউ ধীরপায়ে, কেউ দ্রুতলয়ে।
মাঝপথে এই দুটি কুকুর-কুকুরীর অন্তর্মিলন দেখে মনে হয়,
রাজপথে শুধু এই কুকুরগুলোই খুব স্বাধীন...
... ... ...
তারিখ: ৮১০২/১০/৪১.
লেখা: রোড নং ছত্রিশ.
লেখা: রোড নং ছত্রিশ.
Post a Comment