-->

ছোট্ট কাঁশফুল

... ... ... 

নেকদিন আগে থেকেই ভাবছি,

একটা কবিতা লিখবো তোমাকে নিয়ে।
সেই কবিতাটা ছুড়ে মারবো তোমার ঘরের দোতলার বারান্দায়,
ছোট ছোট সাদা কাঁশফুলে মুড়িয়ে।
রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নোটপ্যাডে টাইপ করি কিছু,
কিছু সিকি-আধুলি জমানোর মত করে
রোজ আমি তোমার জন্য কবিতা জমাই।
পরেরবার দেখা হলে নাহয়,
পুরো কবিতার ব্যাঙ্কটা উলটে দিবো তোমার সামনে,
তুমি পড়ে নিও।

তুমি পড়ে নিও,
কত কত আচমকা স্পর্শে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিলো পিছুপিছু আসা এক চাশমিস ছেলে রোজ।
তোমার চশমার উপর দিয়ে দেয়া বাঁকাচাহনি,
আর আর ওই গলির মোড়ে রিকশা না খুঁজে পাওয়া হতাশা দেখে,
কতশত বার মারা গিয়েছিলো এক ছোট্ট কবি রোজ!
তুমি ওই কবিতায় পড়ে নিও।

... ... ...

ভাবতে ভাবতে অনেকদিন হলো,
তাই ভাবছি এবার লিখেই ফেলবো এক কবিতা।
আমি শুনেছি মেয়েরা কবিতায় দ্রবিভূত হয়!
তুমি নাহয় একবার পড়ে মুচকি হেসো..
সে হাসিতে আমি ফানুশ উড়াবো!
শহরের যান্ত্রিকতা থামিয়ে দিয়ে,
একগোছা কাঁশফুল ধরিয়ে দিবো রাস্তার ট্রাফিকপুলিশটাকে।
উচ্ছেদ করা বিলবোর্ডগুলো ফের টাঙিয়ে,
তোমার হাসি ঝুলিয়ে দিয়ে বলবো,
"আপনারা দেখুন, কিভাবে এক ছোট্ট কবি মারা যায় রোজ..
আপনারা দেখুন, কিভাবে এক চাশমিস ছেলে প্রেমে পড়ে যায় রোজ..."
তুমি হাসবে তো কবিতা পড়ে?
ভাবছি, সেই কবিতায় তাহলে তোমার নামটাও জানিয়ে দিবো,
- "প্রণয়িনী"..

প্রণয়িনী, ছোট্ট কবিরা কখনো খারাপ হয়না।
একবার নাহয় কবিতাটা পড়েই দেখো!
যদি পড়ো, তাহলে ভাবছি আগামীকাল আরেকটা কবিতা লিখবো..
তুমি কবিতাটা পড়বে তো??

... ... ...

তারিখ: ৬১০২/৩০/৩০.
লেখা: রোড নং ছত্রিশ.