নিঃসঙ্গ মহাশূন্যচারী
... ... ...
তোমাদের জ্যামিতিক সূত্রে, আমার ক্ষেত্রফল শূণ্য।
যখন দেখি আমার আকাশটাতে, আমার চাঁদটা নেই।
মোটেও অবাক হইনা। হাহাকার আসেনা
এই ভেবে যে, আমাকে তো চাঁদ মানায় না।
আমি তাই চাই, প্রাণপণে জাপটে ধরতে ঐ শূণ্য কৃষ্ণবিবর!
সেও কি আমাকে ধরে রাখতে পারবে?
যার গ্র্যাভিটি আঁটকে রাখে সময়কে, আমার মত
অস্তীত্বহীনদের ধরে রাখার সময় তার কই!
ভাগ্যিস সান্ত্বনা এই যে,
আমার এখানের মত সেখানেও রাজত্ব চালায় অন্ধকার...
... ... ...
তাই আজ নিরাকার কিছু রেখার যোগ-বিয়োগে
আমি তলিয়ে যাছি তোমাদের সিঙ্গুলার মহাশূন্যে।
আমার পতনে নেই কোনো উপবৃত্তাকার কক্ষপথ,
নেই কোনো স্থানচ্যুত পথহারা উল্কা,
তুমি নিশ্চিন্তে থাকো, এ পতনে তোমার ঘুম ভাঙবেনা...
... ... ...
আজ অতিমানবিক কিছুর প্রয়োজন তাই দেখছিনা,
চাই কিছু মানবিক উত্তর।
যার প্রশ্রয়ে আজ দৃষ্টিসীমার উর্ধ্বে আমার যাবতীয় প্রশ্নের দল,
চাই তার বাধাহীন প্রান্তর।
অফহোয়াইট চাদরে মুড়ে ভেসে যেতে চাই অন্তহীন মহাকাশে;
যেখানে অপেক্ষার কান্না নেই,
বাধা দেয়ার বলয় নেই,
আমার প্রিয় কলমটা নেই,
ক্যামেরাবন্দি তুমিও নেই,
শুধু বিরাজমান -
...কিছু সুখি চন্দ্রবিন্দু।
... ... ...
তারিখঃ ৩১০২/১১/৩১
লেখাঃ রোড নং ছত্রিশ.
Post a Comment