-->

তোমায় নিয়ে লিখতে বসে


... ... ...

তোমার জন্য লিখতে বসে,
খটখটাখট টাইপকরা শব্দগুলো স্ক্রিন ভেঙে ছন্নছাড়া।
রাত্রিজাগা প্রহরগুলো,
টিকটকাটক ঘড়ির মাঝে সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা গড়া।
লিখতে বসে তোমার তরে,
নাক চোখ মুখ গুঁজে রেখে
একাই হাসি,
একাই বকি,
বকতে বকতে সলিম মিয়ার চায়ের আড্ডা
চোখ পাঁকিয়ে কি এক অবস্থা!

কিশোরকালে পত্রিকা রোজ কিনতে গিয়ে,
ঘুরতে ঘুরতে একছুটেতে ওই পাড়াতে,
বিন্দুবাসিনী স্কুল মোড়ে রোজ যে যেতাম মনে নেই আর!
লিখতে বসে আজ এও মনে নেই,
কাল রাতেতে ভাত খাইনি,
তরকারীটা গরম করে রেফ্রিজারেও হাত রাখিনি,
লিখতে বসে ভুলেই গেছি,
লেখার আগে কলম লাগে, খাতা লাগে,
আরোও লাগে লেখকগিরি!

খুব করে যে ধরলে চেঁপে,
লিখতে হবেই তোমায় নিয়ে,
আট কদমের গন্ধমাখা,
আকাশভরা তাঁরায় মেপে।
হুত্তুরি ছাই, লিখবো কি আর?
ভুলেই গেছি তুমি আজ কার!
আমার হলে বয়েই যেতো,
খসখসাখস লিখাই হতো,
বলছিনা না আর বলছিনা মিছু
এবার তবে লিখবোই কিছু-

... ... ...

দুইশত মাইল দূরের আড়ি,
তোমার আমার ধূসর বাড়ি।
উঠোন তলে তোমার প্রিয় কাঁঠালচাপার গাছ পুঁতেছি,
দূর্বাঘাস ছাটাই করে ছাদের উপর হাত ছড়িয়ে
শোয়ার মত চেয়ার পেতেছি।
রাত্রিবেলা আকাশমাঝে খসবে যদি একটা তাঁরা,
দুহাত চেঁপে তুমি আমি,
প্রার্থনাতে ব্যস্ত হবো।
বিশাল বিশাল হাই চেপে,
ঘুম লুকোনোর লুকোছাপায়,
হঠাৎ যদি ঘুমিয়ে পরো,
আলতো করে ঠোঁটটা ছুবো।

একটা কিছু লিখতে বসে,
আজ শব্দগুলো ছন্নছাড়া!
টুপটুপাটুপ বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিলো নখ থেকে পা,
ভেজা কাপড় গায়ে রেখেই ভাবছি আমি,
হাসছি যে খুব.
লিখা হবে পাঠিকা কই?
তাই বিরাট খাতায়, কবিতাও চুপ
তুমিও তাই ধৈর্য্যহারা।

লিখতে বসে কবিতা আজ,
তুমি তুমি গল্পেরা নেই।
লিখে তবে কি আর হবে,
পাচ্ছিনা তাই কবিতায় খেই!
ঘুম পেয়েছে,
ঘুমাই তবে,
তরাকারীটা গরম করো।
চুলার কোণা ভাঙা আছে,
সাবধানেতে আঙুল রেখো।

রেফ্রিজারের শীতল আভায়,
আমার ভীষণ ঘুম এসে যায়।
মৃত্যুশীতল মানুষ বুঝি,
এই কারণেই গভীর ঘুমায়!
তোমার জন্য লিখবো বলে,
লিখবো কিছু কিবোর্ড ছুলাম,
আর কি লিখেছি, কি অসহায়!

লিখতে গেলে তোমায় নিয়ে,
আজকাল দেখি ঘুম পেয়ে যায়।

... ... ...

তারিখ: ৬১০২/৪০/৮২
লেখা: রোড নং ছত্রিশ.